সামাজিক মাধ‍্যমে তাপসি তাবাসসুম উর্মিকে নিয়ে যা জানা গেল

 

জাতীয়: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অসাংবিধানিক বলা ও শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেয়া বিসিএস ৪০ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা তাপসী তাবাস্‌সুম ঊর্মিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তার উপর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশ্ন আসতে পারে, এত প্রস্তুতি নিয়ে এত কষ্ট করে পাওয়া বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের চাকরিটা খোয়াবেন জানার পরেও কেন তিনি এই ধরনের কাজ করলেন? হাজার হোক, এই দেশের প্রেক্ষাপটে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পাওয়া অত সহজ নয়। তিনি ২০১৫ সালে SUST এর সিএসই (২০১০ ব্যাচ) থেকে গ্রাজুয়েশনের পর ২০২২ সালে এই চাকরিতে যোগ দেন। অর্থাৎ, পাস করার পর থেকে প্রশাসনে যোগ দিতে তার সময় লেগেছে ৭ বছর।

আসল কথা হলো, এই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত তিনি অনেক আগেই নিয়ে ফেলেছেন। তিনি ঠিক করেছেন এই দেশে আর ক্যারিয়ার গড়বেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব তিনি এই চাকরি ত্যাগ করে যাওয়াটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে তাকে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য NOC দেয়া হয়। তার মানে তিনি পাসপোর্টের আবেদন আরও আগেই করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি কয়েকদিন আগে “Higher Study Abroad” গ্রুপে নিজের আইডি থেকে জয়েন করেন।

দ্রুত চাকরি থেকে বের হতে পারার পাশাপাশি বাইরে ভিসা পাওয়া বা প্রয়োজনে অ্যাসাইলাম পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে তাপসী তাবাস্‌সুম ঊর্মিকে একটু ‘extreme measure’ নিতে হয়েছে। প্রথমে জনরোষ তৈরি করতে তিনি আবু সাইদকে সন্ত্রাসী বললেন। কিন্তু তার অখ্যাত প্রোফাইলের জন্য সেটা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। পাত্তা না পেয়ে এবার টার্গেট করলেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ও গোটা উপদেষ্টা পরিষদকে। প্রজাতন্ত্রের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রপ্রধানকে অসাংবিধানিক বলা ও তার বিদায়ঘণ্টা বাজানোর ঘোষণা দেয়া সাড়া ফেলতে বাধ্য। তার উদ্দেশ্য সফল হলো। দেশের গণমাধ্যম হুমড়ি খেয়ে এই সংবাদ প্রচার করল, ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিলো, একদিনের মধ্যে ওএসডি ও ২ দিনের মধ্যে বরখাস্তও হয়ে গেলেন। এখন কেউ একজন তাকে আক্রমণ করার হুমকি দিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিলেই তিনি সুড়সুড় করে অ্যাসাইলাম নিয়ে ফ্লোরিডার বিচে হাওয়া খেতে পারবেন। তা না হলেও সমস্যা নেই। স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার ভালো যোগ্যতা তার আছে, Google Scholar এ সার্চ করলে সাস্টে থাকাকালীন তার NLP (Natural Language Processing) এর উপর গবেষণাপত্রগুলো পেয়ে যাবেন।

আশা করা যায়, তাকে আমরা খুব দ্রুত বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরূপে দেখব, সেজন্য আগাম শুভকামনা রইল। জীবনের লক্ষ্যে পৌছাতে মানুষ অনেক ধরনের পথ বেছে নেয়, কিন্তু তিনি কাজটা এভাবে না করলেও পারতেন। এখন প্রশাসনের উচিত জুলাই অভ্যুত্থানে তার কি ভূমিকা ছিল এবং ওই সময়ে তিনি কীভাবে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করা। এ ছাড়াও প্রশাসনে থেকে গত দুই বছরে তার দুর্নীতির কোনো রেকর্ড আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত। (লেখাটি সংগৃহীত)

বি:দ্র: সব ছবি ও তথ্য পাবলিক ডোমেইন থেকে পাওয়া। কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য এখানে প্রকাশ করা হয়নি।

Previous Post Next Post